কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে ইজাজুল হত্যার প্রধান দুই ঘাতক সহ আরো চার জন গ্রেফতার
রফিকুল ইসলাম।
কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে প্রকাশ্যে ইজাজুল হত্যা মামলায় মন দুই ঘাতক সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ গ্রেপ্তার আসামিরা হল কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মোঃ মহরম মিয়া কুমিল্লা নগরীর বর্জ্য পুর এলাকার পারভেজ বারোপাড়া এলাকার মো: ইয়াসিন ও মুরাদপুর এলাকার রুপা আক্তার হত্যাকান্ড সংগঠিত করার পর তারা কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ এলাকায় আত্মগোপন করেছিল।
কোতোয়ালী এবং গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে আরো দুই আসামি দুলাল ও হোসেন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইজাজুলার বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নয়জনকে এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরান হোসেন জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে -৩-৪ মাস আগে থেকেই ভিকটিম ইজাজুল আসামে শারমিন ও রুবেলের কাছে মাদক বিক্রির টাকা পাওনা ছিল.। এই টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কথাবার্তা বলতেই ২৫ জন সন্ধ্যায় কান্দিরপা ডাকা হয় ইজাজুলকে।
এ সময় মহরম ও পারভেজ সহ অন্যান্যরা ইজাজুল কে ঘিরে ধরে ফুটপাতের উপর নিয়ে গিয়ে পায়ে ছুরি কাঘাত করে হত্যা করে। আসামি মহরমের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি মাদকসহ মোট ১৪ টি মামলা পারভেজ এর বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা এবং ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মাদকের তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ সহ প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে মাদকের পাওনা টাকা পরিষদের কথা বলে আসামি রুবেল এবং তার স্ত্রী শারমিন মোবাইল ফোনে ইজাজুল কে গত ২৫ জুন কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে খন্দকার হক টাওয়ারের সামনে ডেকে আনে। তখন ইজাজুল এর সাথে আসামি রুবেল, শারমিন ও রুপার তরকা তর্কের একপর্যায়ে মহরম ও পারভেজ ইজাজুলের পায়ে ছুরিকাঘাত করে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইজাজুল এর মৃত্যু হয়