ইয়াছিন আরাফাত।
চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তরের আদেশকে অবৈধদাবী করে কার্যক্রম ও পাঠদানের স্থগিতাদেশ চেয়ে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের দায়ের করা রীট আবেদনের শুনানি হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিচারপতি জাফর আহমেদ এর ১৭নং হাইকোট বেঞ্চ ওই রীট শুনানি করেন। ওই রীট আবেদনের শুনানীতে উচ্চ আদালত স্থাগিতাদেশ না দিয়ে রুল জারি করেন। ওই রুল জারীর ফলে পাঠদানে আর কোন বাঁধা রইল না চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর ও কার্যক্রমে।
জানা যায়, বাংলাদেশের প্রখ্যাত গাইনিকোলেজিস্ট ডা. সৈয়দা ফিরোজা বেগম ১৯৭০ সালে চান্দিনা উপজেলা সদরে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান সাংসদ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিদ্যালয়টিকে কলেজে রূপান্তরে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে চান্দিনা সৈয়দা ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ২৪ জুলাই উচ্চ আদালতে রীট আবেদন করেন চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলাম ভূইয়া।
চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী এড. তানিয়া আক্তার বলেন, বাদী পক্ষ চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর ও কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চেয়ে রীট আবেদনটি করেন। বিজ্ঞ আদালত আমাদের সকল যুক্তি আমলে নিয়ে স্থগিতাদেশ না দিয়ে সরকারের কাছে জবাব চেয়ে রুল জারী করেছে। আদালত যেখানে সরকারের কাছে জবাব চেয়েছেন সেখানে আমাদের কলেজে পাঠদান ও কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোন বাঁধা রইল না।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিবুল আহসান, এড. তানিয়া আক্তার। বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলতাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।