আজ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪, রাত ১:০৯

বুড়িচংয়ে পাহাড়পুরের পতিত জমিতে তিল চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয় বুড়িচং প্রতিনিধি

বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠের পতিত জমিতে এ বছর তিল আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা থেকে সংগ্রহীত ৫ বিঘা বিনা তিল-২ প্রদর্শনী ও ৬ বিঘা বীজ সহায়তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি থেকে সংগ্রহীত ২ বিঘা বারি তিল-৪ এর বীজ সহায়তা ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে হোমনা উপজেলা থেকে সংগ্রহীত ৪ বিঘা স্থানীয় জাতের তিল মিলে মোট ১৭ বিঘা জমিতে তিল অর্জিত হয়েছে।

প্রথমবারের মতো তিল চাষ করা কৃষক ওমর ফারুক বলেন, সরিষা চাষের পর আমাদের জমি গুলো পতিত থাকবে শুনে কৃষি অফিস থেকে আমাদের তিল চাষের পরামর্শ দেয়। তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শংকা প্রকাশ করেছিল। তবে বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে আমরা বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছি।

উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. শাহেদ হোসেন বলেন, পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠে বোরো আবাদ না হওয়ায় জমি পতিত থাকার কথা ছিল। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ্যের দিক নির্দেশনা পেয়ে কৃষকদের আগ্রহী উদ্বুদ্ধ করতে সভার আয়োজন করি। সভার আলোচনা সাপেক্ষ্যে বীজ ও সার ব্যবস্থা করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তিল চাষের বিষয়ে সকল পরামর্শ আমি প্রদান করছি।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, সেচের অভাবে যে সকল মৌসুমি পতিত জমিতে খরিফ-১ মৌসুমে চাষাবাদ হয় না সেই জমি গুলোকে তিল চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। সেই সাথে তিলের জাত হিসাবে বিনা তিল-২ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীন নতুন জাতের সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরার মাধ্যমে বুড়িচং উপজেলায় তিল আবাদ বৃদ্ধি করতে চাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার জানান, এ বছর তেল জাতীয় ফসলের মধ্যে সরিষার আবাদী জমি বৃদ্ধির পর বুড়িচং উপজেলায় তিল ফসলের জমিও বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ ফলপ্রসূ হয়েছে। বুড়িচং এর কৃষিতে বৈচিত্র আনয়নে ও আরো সমৃদ্ধ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০