নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে কারাগার বের হয়ে এসে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনা কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে পরে এ ঘটনায় ওই বাদীর পরিবারসহ এলাকাবাসী মিলে নিরাপত্তা ও খুনিদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেন। শুক্রবার বেলা ১১ টায় বাগড়া-কুমিল্লা সড়কে কালিকাপুর বাজার ও কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু সরকারি কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহত খায়েরের বাবা সুলতান আহমেদ, মা রোকেয়া বেগম,ভাই রুবেল, বোন হাসনেহারা আক্তার আরজু,ভাই পারভেজ বাবু, হত্যা মামলার স্বাক্ষী জেসমিন আক্তার।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, খায়ের হত্যার মামলার আসামী মূলহোতা সুন্দর আলী ও অন্যান্য আসামীরা জামিনে এসে আবারো নিহত খায়েরের পরিবারে হামলা চালায়। এ সময় আসামীরা বলে, মামলা তুলে না নিলে পরিবারের অন্য সদস্যদের মেরে ফেলা হবে। খুনিদেরকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলেন, হত্যাকারী যেন কোনোভাবে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন রেজা, আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম মাস্টার, সাবেক মেম্বার রফিজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল বাশার তোতা মিয়া।
প্রভাষক মাহবুব আলম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম জিলানী জীবন, জলিল মিয়া, যুবলীগের নেতা শাহাজাহান ভান্ডারী, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রাজিব, শাহ পরান মাজন, শাকিল, সুমন, ইমরান, কাউছার, এবাদুল, সাখাওয়াত হোসেন বিল্লাল সহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রæয়ারি ২০১৭ সালে মসজিদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সুন্দর আলী ও তার বাহিনীর কবির, জুয়েল, জসিম,রবিউল, আলমগীর, ফরিদ মিয়া,জাকির হোসেন, ইস্ররাফিল মিলে ওই রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনন্দপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ, খায়ের, রুবেল উপর এলোপাথাড়ী ভাবে হামলা চালায়। এসময় গুরতর আহত হয় খায়ের ও রুবেল।
পরে ঢাকা এলিফেন্ট রোড জেনারেল মেডিকেল হাসপাতালে আবুল খায়েরকে আহত রুবেলকে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ দিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায় খায়ের।
এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের বাবা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও আজও খায়ের হত্যার সঠিক বিচার হয়নি বলে দাবি করেন পরিবার। এদিকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে এসে খুনিরা আবারো প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। ফলে নিহতের স্বজনদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ।