রুবেল মজুমদার।।
মাঘের তীব্র শীত উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরির পর উৎসাহ-উদ্দীপনায় কোমর বেঁধে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন কৃষকরা। কুমিল্লায় রোপা আমনে বাম্পার ফলনের পর এবার বোরো ধানে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বীজতলা থেকে চারা তোলা, ক্ষেত তৈরি ও চারা রোপণে ভীষণ ব্যস্ত তারা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকরা কাজ করছেন
অনেকেই জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গত ক’দিন ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার এমন চিত্র দেখা গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় এক লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হবে এক লক্ষ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হবে ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের ধান চাষ হবে ৩০ হেক্টর জমিতে।
ডাকাতিয়া নদী ঘেঁষা চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক কৃষকের বোরো ধান লাগানো প্রায় শেষ। আবার কেউ কেউ বোরো চারা লাগাতে শুরু করেছেন। মাইলের পর মাইল কৃষকের স্বপ্ন সবুজ বোরো ধানের চারায় ভরে গেছে। বাতাসের সঙ্গে দোল খেয়ে বড় হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। তারা বোরো ধান চাষে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন।
একাধিক কৃষক সাথে কথা বলে জানান যায়,জমি প্রস্তুত করতে এখন মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, লবীজ-চারা উঠানো এবং রোপণ করা হচ্ছে।
এদিকে, কৃষকদের বোরো আবাদে উৎসাহিত করতে জেলায় ১০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ, ৪ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার, ১০ কেজি করে বিনামূল্যে এমওপি সার প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন,জেলাজুড়ে বোরো লাগানোতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। আমরা বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করছি। কোনো সমস্যা না হলে জেলা এবার হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে ৪.১ মেট্রিক টন, উচ্চ ফলনশীল ৩.৯ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাতের ধান প্রতি হেক্টরে ২ মেট্রিক টন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।