দাগনভূঞায় বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভ
আবদুল্লাহ আল মামুন:
এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্ক হই, সকলে মিলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দাগনভূঞা উপজেলায় বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছেমবৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ-সিডিসির এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেইনমেন্ট, ভাইরাল হেপাটাইসিস ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুজন কান্তি শর্মা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান মন্ডল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নজরুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. শুভাশীষ রায়, ডা. নাজমা ইকবাল ও দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম ও ডা. ফারজানা আক্তার সিপা প্রমুখ। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জনসচেতনতায় গুরুত্বারোপ বলেন, সামান্য রোগে আক্রান্ত হলেই আমরা দোকান থেকে যেকোনো এন্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে ব্যবহার করি। অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন বড় রোগে আক্রান্ত হলে এন্টিবায়োটিক দিলেও ওই রোগীর শরীরে তা কাজ করে না। তাই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বক্তরা আরও বলেন, রোগীদের এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতার পাশাপাশি ওষুধ ব্যাবসায়ীদেরও এন্টিবায়োটিক বিক্রিতে সচেতন হতে হবে। রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি না করা এবং ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা।