নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছিলাম তা হলো- গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ- সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুধু কোন মানুষকে হত্যা করে নাই তারা বাংলাদেশের চেতনাকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধেও চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের অনুভুতিকে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা আবার লড়াই করে আমাদের অবস্থানে এসেছি। আরো ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে এখনো চক্রান্ত কারীরা ঘাপটি মেরে আছে সুযোগ পেলেই আমাদের সন্তানদের চেতনাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা সৌভাগ্যবান যে ঘাতকরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানাকে হত্যা করতে পারে নাই। তাহলে আমরা আর এই বাংলাদেশ পেতাম না।
তিনি আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খানের সভপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মৃনাল কান্তি গোস্বামী, শিক্ষক পরিষদ নেতা মোঃ মঈন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
সভায় আলোচকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন এবং তাঁর মহান আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা করে। সভায় বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ যে ১৮ জন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট দেশদ্রোহীদেও হাতে নিহত হয়েছিলেন তাদের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভায় প্রধান অতিথি এমপি বাহার আরো বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেই গড়ে তুলতে হবে। তারা যে চক্রান্তকারীদের দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেদিকে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।