হালিম সৈকত তিতাস থেকে।
কুমিল্লার তিতাসে এক মহিলার রহস্যজনক লাশ উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ । মহিলার নাম শাহনাজ বেগম (৪৫)। বাড়ি পোড়াকান্দি, স্বামীর নাম আসামুদ্দিন। সে ৫ সন্তানের জননী আজ বুধবার বেলা এগারোটায় উপজেলার ভিটিকান্দি ঈদগা এলাকার উত্তর প্রবাসী লোকমান মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ী থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শাহনাজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় তার মেঝো ছেলে সাব্বির (১৯)কে খোঁজতে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে না আসায় রাতেই তার স্বামী ও ছেলে মেয়েরা অনেক খোজ খুঁজি করেও পায়নি এবং আজ বুধবার সকালেও বিভিন্ন জায়াগায় খুজতে থাকে তার স্বজনরা পরে বেলা আনুমানিক এগারোটায় শাহনাজ এর বসবাসরত বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে প্রবাসী লোকমান মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে থেকে শাহনাজকে পুরো শরীর ভেজা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসি ও স্বজনরা।
পুলিশ ঘটনাস্থল ও লাশের প্রাথমিক তদন্ত করে ধারণা করছে লাশ পানিতে ছিল। শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় নি তবে বাঁ চোখ একেবারে উপড়ে গেছে। এদিকে এলাকাবাসী ধারনা করছে শাহনাজ এর লাশটি পানিতে ছিলো কেউ না কেউ উপরে তুলে রাখছে।
এবিষয়ে শাহনাজের স্বামী কৃষক আসামুদ্দিন বলেন, কারো সাথে আমাদের কোন ঝগড়া বিবাদ নেই, রাতে আমার মেজো ছেলেকে খুজতে বের হয়েছিলো। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাইনি। সকাল ১০ টার দিকে আমার ছোট ছেলে আর বড় মেয়ে কল করে জানান লাশ তারা পেয়েছে পোড়াকান্দি গ্রামের সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম বলেন মহিলাটি খুব ভালো ছিলেন। কারো সাথে কোন রকম ঝগড়াঝাটি ছিল না। এক কথায় ভালো মানুষ ছিলেন।
এ ব্যাপারে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসি। তবে তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু লাশটি পানিতে পরে ছিলো সে কারণে নিহতের বাম চোখটি মাছে খেয়ে ফেলছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।