নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের একটি অংশ রেজিস্ট্রার দফতরে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করলেও আরেকটি অংশ তালা লাগানোর বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বরে অবস্থান নেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পক্ষের দাবি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণ না করার অভিযোগে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির একটি অংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ করেননি শিক্ষক থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রেজিস্ট্রার মো. তাহের।
সেজন্য তাকে অপসারণ করে সেখানে কর্মকর্তা থেকেই কাউকে বসানোর দাবি করছেন তারা। কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে গত ৪ বছরে আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই আমরা কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
তবে রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কর্মকর্তা সমিতি থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যকোনো সংগঠন থেকে তালা ঝুলানো হতে পারে। এদিকে রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ৮২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়।
রেজিস্ট্রার দফতরে তালা ও বর্তমান প্রশাসনকে অদক্ষ প্রশাসন বলে অবহিত ও অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সাধারণ কর্মচারীরা অবগত নয়। কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা সবসময় একমত ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
তারা আরও বলেন, সমিতি যদি সাধারণ কর্মচারীদের মতামত না নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কোনো পদক্ষেপ নেয় যা কর্মচারী চাকুরী বিধির নিয়ম পরিপন্থি এবং যার জন্য পরবর্তিতে সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষতি হয়।
এবং বহিঃবিশ্বে ও সারা বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা কখনও একমত ছিলাম না।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সহ সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ চেয়েছে। তারা রেজিস্ট্রারকে অদক্ষ বলেছেন। আমরা অপসারণ চাই না। তবে আট দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আন্দোলন করবো।
হাতাহাতির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, দু’টি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।