রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্তুজ আলীর দাফন সম্পন্
মাইনুল হক স্বপন
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মর্তুজ আলী মজুমদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে বরুড়ার শিলমুড়ী ঈদগাঁহ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় এর আগে শিলমূড়ী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মুসুল্লির উপস্থিতিতে মরহুমের দ্বিতীয় নামাযের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মর্তুজ আলীর দাফনের আগে বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন এসময় বরুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মঈন উদ্দিন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিউদ্দীন আহমেদ শামীম কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান মিঠু ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ভূইয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাদ জুমা কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এ সময় মরহুমের সহকর্মী আত্মীয় স্বজন পরিবারের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন কান্দিরপাড় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম আল কাদেরীজা নাজার আগে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান ঔষদ প্রশাসনের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন মরহুমের ছোট ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি ক্লাব কুমিল্লার সভাপতি মোকাদ্দেছ আলী মজুমদার শাহীন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু প্রমুখ।
উল্লেখ্য কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় নিবাসী রাজ্জাক ম্যানসনের সত্ত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মর্তুজ আলী মজুমদার (৭০) শুক্রবার বাদ ফজর (ভোরে) নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী পুত্র ২ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মরহুম মর্তুজ আলী মজুমদার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রুস্তম আলীর ছোট ভাই।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মরহুম মর্তুজ আলী মজুমদার সহ চার ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার কারণে সেই সময়ে তাদের কুমিল্লার প্রাণ কেন্দ্রে কান্দিরপাড়ের বাড়িটি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় পাক হানাদার বাহিনী বরুড়ার গ্রামের বাড়িটিও পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিণ সময়ে রাজাকাররা কয়েক দফায় নির্যাতন চালায়। লুট করে নিয়ে গেছে বাড়ির আসবাপত্র।