মেঘনা প্রতিনিধি।
মেঘনা থানার নিখোঁজ একজন কিশোরীকে হারিয়ে যাবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পটুয়াখালী জেলার পতিতালয় থেকে উদ্ধার করেছে মেঘনা থানা পুলিশ। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় যে, মেঘনা থানা নিবাসী জনৈক আব্দুল কাদের (ছদ্মনাম) গত ০৪/১২/২০২২ ইং মেঘনা থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে একটি নিখোঁজ জিডি দায়ের করেন যে,গত ১৯/১১/২০২২ ইং তারিখ বিকাল বেলা হইতে তাহার মেয়ে মোসাঃ বিউটি আক্তার (১৮) (ছদ্মনাম), তাহার নিজ বাড়ি হইতে নিখোঁজ হয়ে যায়।
সকল আত্নীয়-স্বজন এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে অবশেষে তিনি মেঘনা থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন। মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনার মোঃ ছমিউদ্দিন বিষয়টি অতীব গুরত্বের সাথে আমলে নিয়ে তদন্তভার এসআই মোঃ মোশাররফ হোসেন এর উপর অর্পন করেন।
অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ছমিউদ্দিনের সার্বিক তত্বাবধান ও তৎপরতায় এবং এসআই মোঃ মোশাররফ হোসেন এর তদন্তে জানা যায় যে,ভিকটিম মোসাঃ বিউটি আক্তার (১৮)(ছদ্মনাম) তাহার গ্রামে কাজ করতে আসা এক রাজমিস্ত্রির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং তদন্তে জানা যায় যে ভিকটিম পটুয়াখালী জেলায় অবস্থান করছে মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনার মোঃ ছমিউদ্দিন এর নির্দেশে এসআই মোঃ মোশাররফ হোসেন এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম সেই রাতেই পটুয়াখালী জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন।সার্বিক তদন্ত, বিশ্বস্ত সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই দিন ভোরের মধ্যেই জানা যায়।
যে,ভিকটিম মোসাঃ বিউটি আক্তার (১৮) (ছদ্মনাম)’কে তার প্রেমিক পটুয়াখালীর একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এবং সে ওখানেই আছে। ওই দিন সকালের মধ্যেই পটুয়াখালী থানার সহায়তায় উক্ত ভিকটিমকে উদ্ধারপুর্বক মেঘনা থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তার পিতা মাতার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
ভিকটিমের ওই প্রতারক প্রেমিককে সনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা চলছে। মেঘনা থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ জনার মোঃ ছমিউদ্দিন সাহেবের দায়িত্ব এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত, কিন্তু তিনি ওই ভিকটিম কিশোরীর সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে দেবার প্রচেষ্টা হিসেবে ভিকটিমের পিতা-মাতার সাথে আলোচনা করে একজন চাকরিজীবী যুবকের স্ব-ইচ্ছায় ভিকটিমের সাথে ওই যুবকের বিয়ের ব্যবস্থাও করে দেন।