রায়হান কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় জুম্মার নামাজে ছানি আযানকে কেন্দ্র করে সুন্নি ও রিজবি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার স্থলে আবু হানিফ খাঁন(৪২) ও ঢাকা নেওয়ার পথে আবুল খায়ের(৪৫) নামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় শাহিন ভূইয়া নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল গ্রামের বাইতুন নুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মা নামাজের পূর্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু হানিফ খাঁন(৪২) কুড়াখাল গ্রামের মৃত্যু আবদু খানের ছেলে ও আবুল খায়ের(৪৫) মৃত্যু গফুর খানেঁর ছেলে।
আহতদের মধ্যে একই গ্রামের মৃত্যু তালেব খানের ছেলে ইমন খানঁ(২৬) মূহুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। জসিম খানেঁর ছেলে ইব্রাহিম(১৬), ওয়াস করনির ছেলে বাইজিদ(২৭) ও মৃত্য তালেব খানেঁর ছেলে হাবিবুর রহমান মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
আহত অন্যদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যায়নি।
আটককৃত যুবলীগ নেতা শাহিন ভূইয়া(৩৩) কুড়াখাল গ্রামের মৃত্যু সালাম ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ বছর ধরেই ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুন্নি ও রিজবি গ্রুপের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার জুম্মা নামাজের সময় খুতবা পড়ার পূর্বে মোয়াজ্জিন আযান দিতে গেলে রিজবি গ্রুপের লোকজন মসজিদের বাহিরে আযান দিতে বলে। এই কথা নিয়ে সুন্নি ও রিজবি গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগের অন্যতম সদস্য শাহিন ভূইয়াকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমিসহ থানার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।