আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়।। বুড়িচং প্রতিনিধি।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বোরো ধানের ফলন নির্ধারনে নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্দ্যোগে চলতি মৌসুমের বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়।
বুধবার ( ১৩ এপ্রিল ২০২২ ) দুপুরে উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার মহিষমারা এলাকার মাঠে বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়।
ওই এলাকার কৃষক আমির হোসেনের জমিতে রোপণ করা বোরো ধান নির্ধারিত মাপের নমুনা শস্য কর্তন করে মাঠেই মাড়াই-ঝাড়াই করে ফলন রেকর্ড করা হয়। এতে বিঘা প্রতি ব্রি ধান ২৮ পুরাতন জাত ১৯ মণ,ব্রি ধান ৯৬ বিঘা প্রতি ২৬ মণ ফলন পাওয়া যায়।এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক(ডিএই)মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), ডিএই গোলাম রায়হান, উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার,উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় ও উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. ফখরুল ইসলামসহ নমুনা শস্য কর্তনে অংশগ্রহণ করেন ও স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়,উপজেলাতে কৃষি জমিতে চাষ করা হয় উফশী- ৬৬২০ হেক্টর, হাইব্রিড-২৬১৫ হেক্টর, মোট – ৯২৩৫ হেক্টর।লক্ষ্যমাত্রা ছিল, উফশী- ৭৫৪৫ হেক্টর, হাইব্রিড- ১৬৩৫ হেক্টর মোট – ৯১৮০ হেক্টর।ব্রি ধান২৮ জাতের ১৪৫ দিনে ফলন হবে ৫.৩৫ মে.টন/হেক্টর (শুকনা ধান),৩.৫৭ মে.টন টন/হেক্টর (চাল)।
উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান,বুড়িচং উপজেলায় কৃষি জমিতে ব্রি ধান২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের তবে অধিক ফলন বিশিষ্ট ব্রি ধান৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এই ধানটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৮% ও এমাইলোজের পরিমাণ ২৮% হওয়ায় ভাত খেতে সুস্বাদু ও ঝরঝরে হবে। সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বুড়িচং উপজেলায় ১২ মে.টন বীজ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।