নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৭ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হানিফ মাহমুদ ও পরাজিত প্রার্থী মোস্তফা কামালের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় মসজিদের মাইকে সংঘর্ষের খবর ছড়ানো হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মোস্তফা কামালের সমর্থক মাহে আলম মিয়ার সঙ্গে হানিফ মাহমুদের সমর্থক মো. আক্তার হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে আলমের ছেলে মাহফুজ এলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ সময় আক্তার হোসেন আহত হন।
পরে আহত আক্তারকে দেখতে হানিফের আরও সমর্থক আসে। তারা আক্তারকে দেখে যাওয়ার পথে কামালের অন্য সমর্থকদের সঙ্গে কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। পরে হানিফের সমর্থকেরা পাল্টা ধাওয়া করলে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার সময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সুজানগর জামে মসজিদের মাইকে এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে ঘোষণা করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হানিফের সমর্থক স্বপন মিয়া বলেন, ‘আক্তার হোসেনকে আলম মিয়া ও তাঁর ছেলে মাহফুজ মিয়া মারধর করে। মোস্তফা কামালের লোকজন হামলা করে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের ৩-৪ জন আহত হয়।
কামালের সমর্থক জাবেদ মিয়া বলেন, ‘আক্তার হোসেনের লোকজন আলম মিয়াকে মারধর করে। আশঙ্কা অবস্থায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সংঘর্ষে আমাদের ৩-৪ জন আহত হয়। মোস্তফা কামাল আমাদের ধরতে বলেছেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সামান্য কথা নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না বা আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমি সমাজের বিচার-আচার করি। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সবাই শান্ত থাকতে বলব।’
নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হানিফ মাহমদ বলেন, এই ওয়ার্ড অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচনের পরে পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।’