নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর এলাকায় গোমতী নদীর চরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত, এসময় কাটার দায়ে ৩ ব্যক্তিকে ২০১০ সালের ৪ ধারায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে, গ্রেফতার ও অনাদায়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা নগদ পরিশোধ করে ছাড়া পান।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক উন-নবী তালুকদারের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলে। এসময় পুলিশের একটি দলও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা হলেন, চরবাকর গ্রামের সোহাগকে ১ লক্ষ টাকা, আব্দুল মজিদকে ১ লক্ষ টাকা, শরীফকে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ জন থেকে মোট ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থলে মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টরকে ধাওয়া করলে চালক ট্রাক্টর ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক উন-নবী তালুকদারের নির্দেশে ট্রাক্টরটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের তালিকায় ট্রাক্টর মালিক অজ্ঞাত দেখানো হলেও স্থানীয়রা জানান, ট্রাক্টর মালিক চরবাকর গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে গোমতী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরের মাটিকাটা এবং নদী থেকে এলাকার একাধিক সিন্ডিকেট ড্রেজার মেসিন দিয়ে বালি উত্তোলনের কারনে এলাকার সড়কের যেমন বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি এলাকার বাড়ী-ঘরগুলো বালিতে আচ্ছন্ন হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানেও তা থামছেনা।
এব্যাপারে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় র ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক উন-নবী তালুকদার গণমাধ্যমে বলেন, অভিযান চলমান থাকবে।