তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
তিতাসে কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের নামে চট্রগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে)মামলা দায়ের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় তিতাস প্রেস ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট সংলগ্ন গৌরীপুর-হোমনা সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর লোক অংশগ্রহণ করেন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তিতাস প্রেস ক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো.কবির হোসেন, বৃহত্তর দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এ করিম সরকার, দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. হানিফ খান, তিতাস প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এম এ কাশেম ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হালিম সৈকত, মুন্সি সামসুউদ্দিন আহম্মেদ সাগর ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সজিব হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তিতাস, হোমনা ও দাউদকান্দির কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ইন্ধন দাতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৫ জানুয়ারী তিতাস উপজেলার দুধঘাটা নুরে মোহাম্মদি (সঃ) দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইব্রাহিম খলিলের দুর্নীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী এবং অভিভাবকবৃন্দ মানববন্ধনকরে। উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করায় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মাদ্রাসা সুপার ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে তিতাস প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার তিতাস উপজেলা সংবাদদাতা মো. আসলামকে প্রধান আসামী করে এবং দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার তিতাস প্রতিনিধি মো.জুয়েল রানা, ফেইজবুক পেইজ এফবি নিউজ এর রাসেল মুন্সি, জেপি টিভি ফেইজবুক পেইজ এর জহিরুল ইসলাম পাশা, জনতা টিভি ফেইজবুক পেইজ এর আবদুর রহিম ও দুধঘাটা গ্রামের আরো ১৭ জনসহ মোট ২২ জনকে আসামী করে এই মামলা করেন।