রায়হান চৌধুরী।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ও পুলিশি সেবার মান আরোও বাড়াতে মুরাদনগর থানায় সেবা প্রত্যাশী মানুষের সাথে সাক্ষাৎসহ ডিউটি অফিসারের সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্কে বসে দায়িত্বপালন করলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরাদনগর (সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান। তিনি বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীদের সমস্যাগুলো শুনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
রোববার সকালে সেবা নিতে আসা কয়েকজন সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রশংসা করেন। তারা বলেন- ডিউটি অফিসার খুব ভালো স্যার, আমাদের কাজ দ্রুত করে দিলেন। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হয়েও ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় মুরাদনগর থানার সকল অফিসারসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ মীর আবিদুর রহমানকে সাধুবাদ জানান।
উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রাম থেকে এনাম জানান, আমার চাচাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক ভাবে কলহ ও দ্বন্দ চলছে তাই থানায় এসেছি সমস্যাটির সঠিক সমাধানের জন্য কিন্তু আজকের দিনটি ছিল ভিন্ন। আমি প্রথমে মনে করেছি ডিউটি অফিসার তারপর কাজ শেষ করে বের হবার পরে জানতে পারি তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এছাড়া থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের মধ্যে শাহজাহান, আব্দুল করিম, আক্কাস আলী সহ আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এমন উদ্যোগ যেন আগামীতেও অব্যাহত থাকে। তাহলে আমরা সাধারণ জনগন অনেক উপকৃত হবো।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান বলেন, সেবা নিতে আসা কাউকে যেন কোন রকম ভোগান্তি পোহাতে না হয় সে জন্য এএসপি স্যার নিয়মিত থানায় আসেন এবং সকাল থেকেই থানায় স্যার ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবা নিতে আসা সকলের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানে স্যার আমাদের সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম স্যারের নির্দেশে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরোও উন্নতি ঘটাতে কাজ করছি। এসপি স্যার সবসময় জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করতে উৎসাহিত করেন। পুলিশি সেবার মান আরোও বাড়াতে স্থানীয় জনগণের সাথে সাক্ষাত করি এবং মুরাদনগর থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্বও বেশ কিছুক্ষণ পালন করি। তিনি আরোও বলেন, কুমিল্লার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের সবসময় বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, কোন সাধারণ মানুষ যেন থানায় এসে হয়রানির শিকার না হয়। তাই এসপি স্যারের নির্দেশনা মাথায় রেখে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। এমন দায়িত্ব পালন করতে পেরে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন বলে জানান পুলিশের এই সার্কেল।