নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময়ে আহত হয়েছেন ২৫ জন। আজ শুক্রবার সকালে একটি এবং গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত এবং ভোর রাতে দুইটি দুর্ঘটনা ঘটে।ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানায় আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় মামার মোটর সাইকেলে করে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক চাপায় শ্রাবন্তি (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন। কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের লাকসাম উপজেলার উত্তরদা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার সাহেব বাজার পুরোনো ওয়েট স্কেলের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে একটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসের চালকের সহকারী নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।অপর দিকে ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় কুমিল্লাগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাইক্রোবাসে থাকা আনিসুর রহমান ভূঁইয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। নিহত আনিসের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কিংবাজেহুরা গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
লালমাই হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাকসুদ আলম জানান, মামা ফয়েজ ইকবালের সঙ্গে বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রাবন্তি লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেছা কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।