মোঃ রাসেল মিয়া।
কুমিল্লায় নারী উদ্যাক্তা ও সার্টিফাইড শেফ ও ট্রেইনার মেহেবুবাকে নিয়ে অপপ্রচার করায় থানায় অভিযোগ, বিভিন্ন মাধ্যমে সাক্ষী ও মেহেবুবাকে হুমকী ধমকী দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে আজ বিকালে নিজ বাসা মোগলটুলিতে সংবাদ সম্মেলন করেন এই নারী উদ্যোক্তা।
মেহেবুবা মাকসুদ স্মৃতী জানায়, বেশ কিছু দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। এছাড়ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও মানহানীকর বক্তব্য তার ব্যবসার জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে দাড়াচ্ছে। এবিষয়ে গত ৯ আগষ্ট কুমিল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার এজাহারে উল্যেখ করা হয়, জান্নাতুল আহসান, নাজনীন নীলা, সৈয়দা সাজিদা ও নুসরাত জাহান গনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি পেশায় একজন নারী উদ্যোক্তা। আমার প্রতিষ্ঠান সুনেহেরাজ ক্রিয়েশনস্ নামীয় বেকিং ও কুকিং ট্রেনিং সেন্টার নামীয় প্রতিষ্ঠানটি দক্ষতা ও সুনামের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। বিবাদীরা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প মেয়াদী ট্রেনিং নিয়া বর্তমানে নিজেরা কাজ করছে। তাহাদের কাজে অনেক ত্রুটি আছে। আমি তাহাদেরকে আমার শিক্ষার্থী হিসেবে উপদেশ দিলে তাহারা মান্য করে না উল্টা আমার নামে বাজে মন্তব্য করে।
বিবাদীরা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে অসম্পুর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়া বর্তমানে নিজেদের নামে প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বিভিন্ন মেয়েদেরকে ভুল প্রশিক্ষণ দিয়া অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের নামে সার্টিফিকেট দিয়া আসিতেছে। বিবাদীরা সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করিয়া ও লাইভে আসিয়া আমার নামে বাজে মন্তব্য করে ও বাজে কথা বার্তা বলিয়া আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম খ্যাতি নষ্ট করিতেছে। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে আমার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তাহাদের গ্রুপে অংশগ্রহন করাইয়া আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাইতেছে। আমি বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করিলে তাহারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে ও উল্টা আমাকে হুমকী ধমকী দেয়।
আমি বুঝতে পারি যে বিবাদীরা অসৎ উদ্দেশ্যে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম খ্যাতি নষ্ট করার জন্য আমার নামে বাজে মন্তব্য করিয়া আমার সম্মানহানী করিতেছে বিবাদীরা সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে তাহাদের আইডি ঔধহহধঃঁষ অযংধহ নাজনীন নীলা, ঝুবফধ ঝধলরধ, ঘঁংৎধঃ ঔধযধহ ইত্যাদি আইডি থেকে আমার ফেইস বুক আইডি ও আমার প্রতিষ্ঠানের আইডিতে ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন কথা বার্তা লিখিয়া আমাকে হয়রানী করিতেছে। আমি আমার ফেইসবুক বন্ধুদের নিকট থেকে জানাতে পারি যে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
যাহার স্কীট সট আমার নিকট সংরক্ষিত। আমি বুঝতে পারি যে বিবাদীরা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তথ্যা প্রযুক্তি অপব্যবহার করিয়া আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানীকর বাজে মন্তব্য করিয়া আমাকে সমাজে হেয় করিতেছে। বিবাদীদের এহেন অপরাধমূলক আচরন ও হুমকী ধমকীতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি আশংকা করিতেছি যে, বিবাদীদের দ্বারা আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের অপুরনীয় ক্ষতি হইতে পারে। এ ব্যাপারে আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের পরামর্শ মতো আপনার থানায় অভিযোগ দায়ের করিলাম।
তিনি আরও বলেন, এধরনের বিশ্রী কাজ যারা করছে তারা কুমিল্লায় নারীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। নতুন প্রজন্ম এখন আর এই পেশায় আসতে চাইবে না। আমি আমার কাচের মাধ্যমে কুমিল্লাকে তুলে ধরি। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই আমার স্টুডেন্ট আছে। তারা আজ স্ববলম্বী। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার কয়েকজন ছাত্রীও এসকল অপকর্মের সাথে জড়িত। আমি মানুষিক ভাবে প্রচন্ড চাপ অনুভব করছি। হয়ত অসুস্থ হয়ে পরব ।আমি প্রশাসনের কাছে এই অপকর্মের বিচার দাবী করছি