রফিকুল ইসলাম।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের শংকপুর এলাকায় জমজম হোটেলের পিছনে রাস্তার উপর থেকে এই ডাকাত সদস্যদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে রামদা, কার্তুজ, গুলি, লোহার তৈরী কিরিচ ও রড উদ্ধার করা হয়।
আটকৃত আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যরা হলেন, কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪৫), জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার হাটাশ এলাকার মো. জীবন মিয়া (৪৫), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব পোমকাড়া গ্রামের মো. জহির (৪০), দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর এলাকার মো. জয়নাল আবেদীন (২৮) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজলার নুরপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (৩০)।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা অমল কৃষ্ণ ধর জানান, ওসি আনোয়ারুল আজিমের নেত্বত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাধিক অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করি। তাদের মধ্যে ডাকাত সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১০টি, জীবন ও জহিরের বিরুদ্ধে পাঁচটি করে, জয়নালের বিরুদ্ধে তিনটি এবং জসিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, কুমিল্লায় হঠাৎ ডাকাতির সংখ্যা বেড়েছে, যার কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় ডাকাতি বন্ধে ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লার জমজম হোটেলের পিছন থেকে রামদা, গুলি ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়।
দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের শেষে আদালতে নিলে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান উর্মি তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. নূরুল আলমকে দায়েরকৃত মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন।