রায়হান চৌধুরী, কুমিল্লা প্রতিনিধি।
‘শেকড়ের টানে পাশে আনে বন্ধু’ শব্দটা ছোট হলেও এর পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে পরিমাপ করার সাধ্য কারো নেই। তারপরও ছোট পরিসরে বলতে গেলে বন্ধু মানেই আত্মার টান, ভালোবাসার বন্ধন, হৃদয়ের স্পর্শ, একে অন্যের ছায়া বড় রকমের ভরসার জায়গা হাতে লাটিম-নাটাই নিয়ে মাঠ-ঘাট, বই খাতা কাঁধে চেপে সেই কোরবানপুর জি.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের দুষ্টুমির সেই স্কুলের বারান্দা, স্যারদের হাতে ইচ্ছে করে মাইর খাওয়ানো আবার সেই হাতে ভাগ করে একই বক্সের টিফিন খাওয়া, বন্ধুত্বের সূচনাটা এভাবে হলেও সম্পর্কের দৃঢ়তা বেড়েছে, অন্যভাবেও।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্ব ধৈইর (পূর্ব) ইউনিয়নের কোরবানপুর জি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘৯৭ সালে এস.এস.সি ব্যাচের মিলনমেলা মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্য দিয়ে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯৭’ব্যাচের মিলনমেলায় আসা বন্ধুরা একে একে সবার পরিচিতি কর্মজীবন ও স্কুল জীবনে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে কেক কেটে ২৫ বছর রজতজয়ন্তী উদযাপন, সংগীতানুষ্ঠান পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন সহ সকল বন্ধুদের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির অন্যতম কৃতিত্বের অধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন।
এ সময় প্রফেসর ডা: সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ধৈইর (পূর্ব) ইউপি’র চেয়ারম্যান শ্রী শুকলাল দেবনাথ। ৯৭’ব্যাচের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, শাহজাহান (শুক্কর আলী) কমান্ডার আব্দুল আজিজ, সফিকুর রহমান, পূর্ব ধৈইর (পশ্চিম) ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ময়নাল হোসেন।
সাবেক চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম শরীফ, অব: ব্যাংকার আব্দুর রউফ, কোরবানপুর জি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল নাইয়ুম ভুইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, সাবেক শিক্ষক নুরুজ্জামান ভুইয়া, সহ: শিক্ষক হাবিবুর রহমান, সহ: শিক্ষক আব্দুস সালাম, ৯৭’ব্যাচের শিক্ষার্থী আল-আমিন মাষ্টার, কৃষিবিদ ফারুক মিয়া, উপ-সহকারি (ভূমি) কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, সেবক দেবনাথ, জাফর ইকবাল, জিয়াউর রহমান, সজল কুমার সরকার, বুল বুলি আক্তার, পারবিন আক্তার, রেখা আক্তার প্রমূখ।
স্কুল জীবনের বন্ধুদের কাছে পেয়ে কেউ কুশল বিনিময় করছেন, কেউ কেউ ফেলে আসা জীবনের গল্প নিয়ে ব্যস্ত, যেন ফিরে পেয়েছেন সেই সব সোনার দিনগুলো।বন্ধুদের এমন আবেগ, উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দিলো এখনো বন্ধুত্বের বাঁধন রয়েছে অটুট, রয়েছে হৃদ্যতায়।
দুপুরের খাবারের পর র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় ব্যাচের বন্ধুদের স্মারক সম্মাননা দেয়া হয় ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরহাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।