রফিকুল ইসলাম
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার শাকপুর আমান ওরুফে রাফির সাথে তামান্না আক্তারের ফেসবুকে পরিচয় এরপর প্রেম। প্রেমিকের ডাকে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তামান্না। সেখানে প্রেমিকের মায়ের বকুনি খেয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তরুণী।
এ ঘটনায় তাঁর প্রেমিকের যোগসাজশে রয়েছে এমন অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকা থেকে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল মান্নান।
পুলিশ সুপার বলেন এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগী তরুণী বরুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় কথিত প্রেমিক আমান ওরুফে রাফিসহ চারজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয় পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরুড়ার শাকপুর এলাকার খন্দকার বাড়ির জিন্নাত আলীর ছেলে মো. শামিম (২৩), একই এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন (৩৫) ও কাশেম মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৭)।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামের আমান রাফির (২১) সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাফি ওই তরুণীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়।
ওই তরুণী বাড়িতে গেলে রাফির মা রাতে তাঁকে গালমন্দ বাসা থেকে বের করে দেন। পরে ওই তরুণী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ির পথে রওনা দেয়। পথে কথিত প্রেমিক রাফির যোগসাজশে শাকপুর ইঞ্জিনিয়ার গেট থেকে কয়েকজন যুবক তাঁকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেয়। পরে ওই তরুণীকে শাকপুর পুরান বাজার শাহজাহানের নির্জন বাগানবাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘ভোরে অভিযান চালিয়ে শাকপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের নামে থানায় আগেরও একটি মামলা রয়েছে।’