আবদুল্লাহ আল মামুন।
‘আনন্দ নিয়ে পড়বো সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়বো এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দাগনভূঞা উপজেলায় আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্ককার বিতরণের মধ্যদিয়ে মীনা দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে এশটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে অফিসার্স ক্লাব হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইস্কান্দর নূরী’র সভাপতিত্বে ও গৌতমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাউদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি। বক্তব্য রাখেন দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইউডিএফ মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
জানাগেছে বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি। মীনা এশটি উচ্ছল প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম মীনা। কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর এই কার্টুনের আরও দুটি চরিত্রের নাম মিনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু।লিঙ্গ বৈষম্য রোধ শিক্ষা স্বাস্থ্য সচতেনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়।
কার্টুনটি বাংলা ইংরেজি উর্দু হিন্দি ও নেপালি বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় মীনা কার্টুন। ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দিনটি মীনা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার এই কার্টুনটির সূচনাসংগীতও শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। বাংলাদেশে ইউনিসেফের বড় অর্জনগুলোর একটি মীনা।