ভাত খাওয়ার বিষয়ে প্রচুর জল্পনা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ভাত খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন সময়ে কতটা ভাত খাবেন তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। কখন ভাত খাওয়া উচিত এবং এর অসুবিধাগুলি কী কী! এই নিয়ে প্রায়শই নানান প্রতিবেদন দেখা যায়। অনেকেই মন্তব্য করেন, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক এবং এ কারণেই বেশিরভাগ লোকরা রাতে ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। জেনে নেওয়া যাক রাতে ভাত খাওয়ার কী কী উপকার রয়েছে।
রাতে কম পরিমানে মুসুর ডাল ও ভাত হার্ট ও ব্লাড সুগারকে ঠিক রাখে। ভাত আমাদের অন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
ভাত হজম করা সহজ, তাই এটি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না। উল্টে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এতে কম ফ্যাটযুক্ত উপাদান রয়েছে এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। এতে গমের চেয়ে কম ক্যালোরিও রয়েছে।
রাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত ভাত না ফেলে দিয়ে, তা জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সকালের ব্রেকফাস্টে এই পান্তাভাত, কাঁচা পেঁয়াজ-সহ খেতে পারেন। পান্তাভাত আপনার দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তবে সর্দি বা জ্বরের ধাঁচ থাকলে না খাওয়াই ভালো।
আপনি যদি রোগ হন, তবে রাতে ভাত খেতে কোনও সমস্যা নেই। তবে আপনার ওজন বেশি হলে বিকেলের দিকে ভাত খান। কারণ বিপাক কার্য বিকেলের দিকে ভালো হয়।
ভাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে, যা ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তবে ভাতে থাকা শর্করা আমাদের জন্য শক্তির প্রধান উৎস। তবে যারা ওজন কমাতে চান তাদের পক্ষে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
ভাত খেলে মূলত, লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি দূর করার কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ত্বককে উজ্জ্বল দেখায়। এর পাশাপাশি ভাতে প্রচুর পরিমাণে তন্তু থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।