নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনার পরিসংখ্যানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুসারে কুমিল্লা জেলার অবস্থান সারা দেশে পঞ্চম। প্রাথমিক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে কুমিল্লায় বসবাস করে ১ হাজার ৯৭৪ জন। যা প্রতি বর্গ কিলো মিটারে জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে দেশে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।
তবে ঢাকা জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস। দশ হাজার ৬৭ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। এই জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করছে পাঁচ হাজার ৭১২ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা গাজীপুরে বসবাস করছে দুই হাজার ৯৭৪ জন। নরসিংদীতে দুই হাজার ২৪৭ জন এবং কুমিল্লায় এক হাজার ৯৭৪ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদনে কুমিল্লা জেলার জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার বলে জানিয়েছেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ- পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান। এর আগের গণনায় কুমিল্লায় জনসংখ্যা ছিলো ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার। গত ১১ বছরে কুমিল্লায় জনসংখ্যা বেড়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার। বিবিএস জানিয়েছে, জনশুমারির এই প্রতিবেদন প্রাথমিক। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসকে দিয়ে শুমারি পরবর্তী যাচাই জরিপ করা হবে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
শুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর এ ফলাফল মিলেছে।
গত বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
সারা দেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২। ২০১১ সালের জনশুমারিতে গড় জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জন। ২০১১ সালের শেষ জনশুমারিতে যা ছিল ৯৭৬ জন। স্বাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের শুমারিতে ছিল।
৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ ২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।