আজ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪, বিকাল ৩:৩২

দাগনভূঞায় হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আবদুল্লাহ আল মামুন:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ নির্দেশনার পর দাগনভূঞা উপজেলার বেসরকারি (প্রাইভেট) পাঁচটি হাসপাতাল ডায়াগণষ্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ মে) সকালে তিনি দাগনভূঞা পৌর শহরের বসুরহাট রোডস্থ হাজী ক্লিনিক, মেডিকেয়ার হসপিটাল, ফাজিলের ঘাট রোডস্থ ইউনিক হসপিটাল, মা ও শিশু হসপিটাল ও আয়েশা জেনারেল হসপিটাল পরিদর্শন করেন।


এ সময় স্থাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল হাসপাতাল, ডায়াগণষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিদর্শন করা হবে। এর আগে গত বুধবার (২৫ মে) অধিদপ্তরের অনুষ্ঠিত এক সভায় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এবং সিদ্ধান্তে দেশের সকল সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ নির্দেশনার পর গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দাগনভূঞা উপজেলার সকল বেসরকারি হসপিটাল, ডায়াগণষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিক সমিতি এবং মালিকদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর শনিবার (২৮ মে) দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। হাসপাতালগুলো লাইসেন্স থাকলেও নেই নবায়ন। নবায়ন করা সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে।

এরপরও কেউ অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হয় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হবে এবং অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার মান আরও বৃদ্ধি করার নানা পরার্মশ প্রদান করেন এই কর্মকর্তা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হসপিটালগুলোর লাইসেন্স থাকলেও নেই নবায়ন। আগামী ১ মাসের মধ্যে নবায়ন করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং নবায়ন কপি জমা দেয়ার কথা বলা হয়। কয়েকটি হসপিটালের কাগজপত্রের ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর কাগজপত্র ঠিক করে জমা দেওয়া, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টার সহ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কাগজপত্র আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।


এসময় হসপিটালে সেবার মান সম্পর্কে জানার জন্য হসপিটালের ভর্তি রোগী ও স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সবগুলোর মধ্যে হাজী ক্লিনিকে নেই স্টেরয়েড, বাসা ড্রেস্টব সেটিং, নেই রোগীর বেড স্পেস, প্যাথলজি রুমে ওষুধ ও সেম্বল একসাথে রাখা সহ নানা অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে। হাজী ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার মানও ভালো নয়।

হসপিটাল সম্পর্কিত তথ্য সরকারি হাসপাতালে পাঠায়নি হাজী ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক করে আগামী ১ কার্যদিবসের মধ্যে সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় এবং আগামী একমাসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করে নবায়নের কপি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র আরও জানায়, উপজেলায় ৭টি হাসপাতাল, ৬টি ডায়াগণষ্টিক সেন্টার ও ৩টি চক্ষু হসপিটালসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

পর্যায়ক্রমে সবগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তোহিদুল ইসলাম। হাসপাতালপরিদর্শনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সালেহ উদ্দিন আকবর ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০