নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ একেএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ভর্তি বানিজ্যর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কুমিল্লায় শিক্ষাবোর্ডের তদন্ত কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শনক জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।
জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন অভিযোগকারীর মূল অভিযোগ ছিল ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে। আমরা সেটার আলোকে তদন্ত করেছি এবং এর সত্যতাও পেয়েছি। বিজ্ঞপ্তির বাইরে ওই ১৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ পরবর্তীতে তাদের রোল নম্বর কত হয়েছে সেটাও আমরা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানায় গত ডিসেম্বরে নগরীর শাকতলা এলাকার সুলেমান আহমেদ নামের এক অভিভাবক কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে, তিঁনি(সাংসদ) তদন্তের জন্য কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডকে নির্দেশ দেন। শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৯ ডিসেম্বর বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) স্থানীয় এমপি ও শিক্ষামন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মোট ১৮জন শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ভর্তি করা হয় বিজ্ঞপ্তির বাইরে। ভর্তি করা সেসব শিক্ষার্থীদের বাদ রেখে একটি ভুয়া দৈনিক হাজিরা শিট তৈরি করে তদন্ত কমিটিকে দেন অধ্যক্ষ এমদাদুল হক।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ২০১৭ সালে জাতীয়করণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ডক্টর এমদাদুল হক। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবছরই ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে আসছিল । কলেজটি জাতীয়করণের পর শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের সময় দাবি করা মোটা অংকের টাকা না পেয়ে ১৫ শিক্ষকের বেতন আটকে রাখার বিষয়ে ভুক্তভোগীদের করা একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।