রফিকুল ইসলাম।
দিনাজপুর সদর হাসপাতালে লেবার ও গাইনি ওয়ার্ডের বিছানা নং-২৩ এ ভর্তি থাকা মোছাঃ জাহেদা বেগম ৩০ একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন আনুমানিক ০৮:৪৫ মিনিটে এবং বেলা অনুমান ১২: ৪৫ ঘটিকার সময় প্রসূতি জাহেদা বেগমের প্রসাবের চাপ দিলে তার বড় বোন মোছাঃ হাজেরা বেগম সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে উক্ত বেডের পার্শ্বে থাকা এক অপরিচিত মহিলার কোলে রাখতে দিয়ে প্রসূতিকে বাথরুমে নিয়ে যান।
এবং ১৫/২০ মিনিট পর আনুমানিক ১:০০ ঘটিকার সসময় বাথরুম থেকে এসে দেখেন সদ্যজাত কন্যা সন্তানসহ উক্ত মহিলা চলে গেছেন সদ্যজাত শিশুটিকে আশেপাশের কোথাও খুঁজে না পাওয়া গেলে।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার, দিনাজপুর মহোদয়কে এ বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার) দ্রুত কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের সঠিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব সুজন সরকারের নেতৃত্বে অফিসার ইন-চার্জ জনাব মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে।
থানা পুলিশ ও দিনাজপুর ডিবি টিমের আন্তরিক তৎপরতায় অভিযান পরিচালনা করে মাত্র ২০ ঘন্টার মধ্যে হারিয়ে যাওয়া এক দিনের নবজাতক শিশুটিকে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর মোতাসাহা পাড়ার মোছাঃ শিউলী আরা (২৩) এর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। অদ্য ০৪ জানুয়ারি দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় পুলিশ সুপার মহোদয়, দিনাজপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে নবজাতক শিশুটিকে স্বহস্তে তার মায়ের কোলে তুলে দেন এবং প্রসূতির হাতে ফলের ঝুড়ি উপহার দেন।