খবরের সন্ধানে ডেস্ক।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়া নিয়ে মেয়র সাক্কু বলেন, পদ-পদবি কিছু যায় আসে না ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পার্টির মালিক, ওনি বাদ দিয়েছেন- আমার কিছু করার নেই। দলীয় কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।দলে আমার কর্মকাণ্ডে হয়তাে তারা সন্তুষ্ট নন।
তাই আমাকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হয়তাে আমার বিষয়ে ভুল বােঝানাে হয়েছে, তাই তারা আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি যেহেতু ব্যস্ত থাকি- দল হয়তাে আমার দরকার মনে করছে না। এতে আমার মনে কোনাে রাগ নেই বলে জানান তিনি।
মেয়র সাক্কু আরও বলেন, আমাকে তাে আর কুমিল্লার কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি মেয়র হওয়ায় নানা কারণে আমি হয়তাে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারি না। কিন্তু আমার অনুসারীরা কর্মসূচি পালন করে। ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। আমি এই দলের রাজনীতির সঙ্গেই থাকব। তবে অব্যাহতির চিঠির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, মেয়র হওয়ার কারণে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে কথা বলে আমাকে চলতে হচ্ছে। আমার দৃষ্টিতে আমি আমার অবস্থানে সঠিক আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা সম্মানীয় ব্যক্তি, ওনাকে সালাম করা কি আমার অপরাধ? আমি এখনও বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলি। তবে বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান করি। কারণ তিনি দেশ স্বাধীন না করলে আমি মেয়র হতে পরতাম না।
যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আমাকে কারণ দর্শানাের কথা বলা হচ্ছে, সেই দিন আমার দিনের কার্যবিবরণী দেখা হােক। সেদিন কোনো কাজ ছিলাে কি না, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন কি না, সেটা যাচাই করে দেখতে পারেন তারা।
আমাদের দলের একটি সংবিধান আছে। সেটা হলাে ব্যক্তি থেকে দল বড়, দল থেকে দেশ বড়। দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি বলে জানান তিনি উল্লেখ্য, মনিরুল হক সাক্কু দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টানা দ্বিতীয় বারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন।