নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার ‘প্রকৃত ঘটনা’ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিনকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এম তানভীর আহমেদ ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন। তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার একটি খবর বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ছড়ানোর পর কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
রাতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি ঘোষণায় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
এদিকে ঘটনাটি তদন্ত করতে আওয়ামী লীগের একটি সংসদীয় টিম বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। একই সময় ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন। কমিটির নেতারা কুমিল্লা সার্কিট হাউজে দলীয় ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের শনাক্ত করে শিগগির গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছি। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।