ইয়াছিন আরাফাত।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামে ভাই-ভাবির চোখে মরিচের গুড়া ছুড়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এক পাষন্ড ছোট ভাই ও তার পরিবারের সদস্যরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠে।
পুলিশ ও আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কংগাই গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাস ও তার ভাই নারায়ণ চন্দ্র দাস নামের দুই সহোদরের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামে বড় ভাইয়ের বসত ঘরে হামলা চালায় নারায়ণ চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলে সহ সঙ্গীরা। এসময় নারায়ণ চন্দ্র দাস তার আপন বড় ভাই দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) ও ভাবী মলিনা রানী দাস (৪০) এর চোখে মরিচের গুড়া ছুড়ে মারে। এতে তারা চোখে কিছুই দেখতে পায় নি। এসময় হামলাকারীরা এলোপাতারি কুপিয়ে দুলাল চন্দ্র দাস ও মলিনা রানী দাসকে গুরুতর আহত করে। মলিনা রানী দাসের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে মাটিতে পরে যায়। অপর হাতের ২টি আঙ্গুলও নড়বড়ে হয়ে যায়। দুলাল চন্দ্র দাসের হাতে মারাত্মক জখম হয়।
পরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। আহতদের চিকিৎসার জন্য চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল পরে ঢাকা মেডিকেল এবং অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শ্যামলী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত দুলাল চন্দ্র দাস জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি মামলাও চলমান। গত রবিবার সকালে পূর্ব পরিকল্পনা করে নারায়ণ চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী সন্তান মিলে অতর্কিত ভাবেই চোখেমুখে মরিচের গুড়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের জখম করে।
এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র দাসের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক মো. নোমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা জানান জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, হামলার ঘটনা সঠিক। এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।