নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লায় র্যাবের পৃথক অভিযানে সরকারি ঔষধ কালোবাজারে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফার্মেসীতে বিক্রয় এবং অননুমোদিতভাবে আমদানিকৃত বিদেশী ও বাংলাদেশী ভেজাল ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে ২ জন আটক করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার আলেখারচর এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্সে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এসময় বিপুল পরিমাণ ঔষধ জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, আলেখারচরের কুমিল্লা মেডিসিন কমপ্লেক্সের “আব্দুল্লাহ ফার্মেসী” তে বিশেষ অভিযানে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফার্মেসীতে বাংলাদেশ সরকারের বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ কালোবাজারে বিক্রয়ের সময় বিপুল পরিমাণ সরকারী ঔষধ ও নগদ ১ হাজার ৪০০ টাকাসহ মোঃ সাইফুল ইসলামকে (২৩) আটক করা হয়।
আটককৃত সাইফুল দাউদকান্দি উপজেলার বিটিচারপাড়া গ্রামের মোঃ নুরুদ্দিন মিয়ার ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সে স্বীকার করে যে, সরকারি ঔষধসমূহ অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফার্মেসীতে কালোবাজারে বিক্রয় করে আসছিল।
এছাড়াও মেডিসিন কমপ্লেক্সের “প্রিয়াংকা ফার্মেসী” তে বিশেষ অভিযানে ভারত, ইউএসএ, শ্রীলঙ্কা ও বুলগেরিয়ার তৈরী বিপুল পরিমাণ ঔষধ এবং বাংলাদেশে তৈরী ভেজাল ঔষধ ও নগদ ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৪০০ টাকাসহ মোঃ আরমান হোসেনকে (১৯) আটক করা হয়।
আটককৃত আরমান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাট্টেরহদ গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সে স্বীকার করে যে, ঔষধসমূহ অননুমোদিতভাবে আনয়ন করে উক্ত ফার্মেসীতে বিক্রয় করে আসছিল।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারী ঔষধ কালোবাজারী এবং অননুমোদিত, ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত প্রতিরোধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।