পুলিশের এ এস পি পরিচয় দানকারী তিন চাদাবাজ আটক।
সোহেব আক্তার কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে প্রাইভেটকারে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে এএসপি পরিচয়দানকারী যুবকসহ ৩ জনকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসময় সামনে-পেছনে পুলিশ লিখা স্টীকার লাগানো টয়োটা এ্যাভেঞ্জা মডেলের একটি গাড়ী জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বালুখালী পানবাজার রোহিঙ্গা শিবিরের এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প-৮ ইষ্ট এর সিআইসি অফিসের সামনের রাস্তা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণার দায়ে আটককৃতরা হলো- গোপালগঞ্জ জেলার বরফা পশ্চিম শুকতাইল এলাকার মো: শাহজাহান মোল্লার ছেলে মো: আহসান ইমাম, বগুড়া জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মো: মনোয়ার হোসেনের ছেলে আমানুল্লাহ পলাশ (নিরব নাদিম) নামের ছেলেও পটুয়াখালী গলাচিপার মো: আব্দুল হক শিকদারের ছেলে মো: মিন্টু (৩০)।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরান হোসেন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর চেকপোস্টে এপিবিএন পুলিশ সদস্যদের সিগনাল অমান্য করে সামনে এবং পেছনে “পুলিশ” স্টীকারযুক্ত একটি টয়োটা এ্যাভেঞ্জা গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৬৭৩) ক্যাম্পের ভেতরের দিকে যেতে থাকে এবং সিআইসি ৮-ইস্ট এর অফিসের সামনে গিয়ে দাড়ায়।
পুলিশ সদস্যরা সেখানে এসে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে গাড়িতে থাকা নিরব নাদিম নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পিয়াল হিসেবে পরিচয় দেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে সে নিজেকে ৩৪ তম বিসিএস পুলিশের একজন সদস্য যার বিপি নং-৩৩০৭১৭ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তার পোস্টিং বলে পরিচয় দেন।
কথাবার্তায় সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্প কমান্ডারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ক্যাম্প কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তারা এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে সে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নয় একসময় তিনি কুমিল্লা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর ক্রিড়া শিক্ষক ছিলেন। স্কুলে পড়ুয়া একাধিক মেয়ের সাথে ছলচাতুরি করার দায়ে ভাড়া বাসা থাকার ঐ এলাকার লোকজন এলাকাচ্চুত করে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ঢাকাসহ বিভিন্ন যায়গায় অনৈতিক ও বিভিন্ন দূর্নীতির কাজে কয়েকবার আটকসহ সাবধান করার পরেও এ পথ থেকে নিজেকে সরাতে পারেনি সে। সাথে দুইজন যুবক নিয়েই সে এসব কাজ করে বেড়াতেন, ঢাকা থেকে গাইবান্ধা এবং সেখানে সুযোগ মিলাতে না পারায় কক্সবাজার উখিয়া তে এসে নিজের পিতা মাতার পরিচয় গোপন রেখে নাম পরিবর্তন করে দূর্নীতির সম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়।
পুলিশ সুপার মো: কামরান আরোও জানান, ওই যুবক নিজেকে কখনও এডিসি, কখনও এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে বলে দাবী করেন। গাড়িতে মো: আমানুল্লাহ পলাশ” নামধারী একটি পুলিশ সার্জেন্ট এর আইডি কার্ডও পাওয়া যায় যেটি গাড়িতে থাকা কোন ব্যক্তিদের নয় এবং প্রতারণার কাজে এটি ব্যবহৃত হয় বলে জানা যায়। বিস্তারিত জানার পর গাড়িটি জব্দ করে ওইতিন যুবককে আটক করে পুলিশ ক্যাম্প এ নিয়ে আসা হয়।এ ব্যাপারে আটক যুবকদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা।