নেকবর হোসেন
কুমিল্লা নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা এলাকায় মজনু বাবা’র মাজার শরীফে হামলা, ভাংচুর ও লোটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মাজারের খাদেম কাজী ফরিদ উদ্দিন প্রকাশ্যে গেদু মিয়া কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মজনু বাবার মৃত্যুর পর পীর সাহেবর ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে এলাকার লোকজনসহ খাদেম কাজী ফরিদ উদ্দিন মজনু বাবার মৃতদেহ তার নামীয় বর্ণিত সম্পত্তিতে দাফন করেন।
মজনু বাবার মৃত্যুর পর হইতে কাজী ফরিদ উদ্দিন উক্ত মাজারের খাদেম হিসেবে মাজার দেখাশোনা করিয়া আসছে।
মজনু বাবার মৃত্যুর পর থেকে ওই এলাকার উচ্ছৃঙ্খল ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক মৃত কিরন মিয়ার ছেলে কাইয়ূম খান, মৃত আঃ রশিদের ছেলে নেয়ামত উল্লাহ, নেয়ামত উল্লাহর দুই ছেলে সাকিল ও রনি প্রায় সময় বে-আইনিভাবে উক্ত মজনু বাবার সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করিয়া আসছে।
হামলাকারীরা পূর্বেও মাজারে লুটপাট চালায়, এ বিষয়ে সি.আর/৫৫৭-২০ সালের কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে উক্ত মামলাটির আদালত বিচারঅধীন আছে।
উক্ত বিষয়ের জের ধরে গত ১৮ আগস্ট রাত ১:৩০ মিনিটে কোতয়ালি মডেল থানাধীন তেলিকোনা এলাকায় মজনু বাবার মাজার শরীফে উপরোক্ত ব্যাক্তিরা বে-আইনি ভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে মাজারে প্রবেশ করে মাজারের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। মাজার নির্মাণের জন্য জমাকৃত ৫শত ইট ও রডের শীল যাহার মূল্য ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি টের পেয়ে খাদেম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
যাওয়ার পূর্বে হুমকী দিয়ে যায় মাজারের নিম্নোক্ত সম্পত্তি দখল করিতে কেউ বাধা প্রদান করলে তাকে প্রাণে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া যায়।
মজনু বাবার নামে মাজারের তফসিলভুক্ত জায়গা বেদখল এ বিষয়টি নিয়ে খাদেম ও ভক্তবৃন্দ খুবই চিন্তিত। বিষয়টি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদের পরামর্শক্রমে খাদেম কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।