স্টাফ রিপোটার্স।
অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ময়মনসিংহে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি মোটরসাইকেল নিয়ে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে এসব ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার আদালতে গ্রেপ্তারকৃত দুই তরুণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে গত ৩ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার বাসিন্দা রইছ উদ্দিন অপু ও তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের শম্ভুগঞ্জে সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতি রোধ করে তরুণদের দলটি। তারপর অস্ত্রের মুখে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রোববার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তারা।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে থাকা মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ছিনতাইকারী দলের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে রোববার রাতে ডিবির এসআই মোহাম্মদ শহদিুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে নগরীর জয়বাংলা বাজার এলাকা থেকে নায়েব আলী (১৯) ও মারজুক হাসান (১৯) নামে দুই তরুণকে আটক করে পরে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় এই তরুণ।
নায়েব ও মারজুক পুলিশকে জানায়, তাদের সঙ্গে অপর বন্ধু রাশেদ হাসানও কাজ করে। রাশেদ মূলত মোটরসাইকেলটি চালায়। ভালুকা, ত্রিশাল ও নগরীর চুরখাই এলাকায় কয়েকটি ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রর গতি রোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করত তারা।
পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুব্রত শুভর আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে দুই তরুণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, তিন বন্ধু মিলে ছিনতাই কাজ করছিলো। গত কিছুদিন ধরে চক্রটির তৎপরতার বার্তা পেলেও কেউ অভিযোগ না করায় ধরতে পারছিলেন না। অবশেষে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(সূত্র সমকাল)