মোঃ আরিফ আজগর।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মোকারা ইউনিয়নে শেয়ালী মোড়েচৌ গ্রামে সাবেক বি ডি আর কর্মকর্তা মৃত আবু হানিফের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে তারই চাচাতো ভাই।
শনিবার (৭জুলাই) বিকেলে ইচ্ছাকৃত কলহ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে একইবাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আজিজসহ তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ দ্বীন মোহাম্মদকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হামলায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হোন দ্বীন মোহাম্মদ আহত দ্বীন মোহাম্মদ আঘাত প্রাপ্ত হলে তার আত্ম চিৎকারে এলাবাসী ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তৎক্ষনাৎ বিষয়টি পুরোএলাকা জুড়ে জানাজানি হলে এবং আক্রমনকারী আজিজ হামলার দায় স্বীকার করলে এলাকার গণ্যমান্য ও সর্দার মাতব্বরগণ আহত দ্বীন মোহাম্মদকে বিষয়টি সামাজিক মিমাংসার আশ্বাস দেন এবং সমাধান অবধি মামলা না করার জন্য বলেন।
কিন্তু এমন পরিকল্পিত হামলার এখনো কোন সমাধান মিলেনি এমনটাই জানালেন আহত দ্বীন মোহাম্মদ।
এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর মোজাম্মেল হোসেন মিলন বলেন যেহেতু উভয়ে একে অপরের আত্মীয় তাই আমরা অতিদ্রুত সামাজিক সালিশির মাধ্যমে অতিদ্রুতই সমাধান করবো যেহেতু দ্বীন মোহাম্মদ আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তার সাময়িক সুস্থতার অপেক্ষায় আমরা আছি।
এদিকে গ্লোব সফট ড্রিংসের মার্কেটিং কর্মকর্তা হামলাকারি আজিজকে নিয়ে এলাকাবাসীর শত অভিযোগ চার দিকের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রায় ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন না অনেকেই। মহিলা কিংবা শিশু কেহই রেহাই পায় না তার অত্যাচার থেকে।
গেল কয়েকদিন আগে কয়েকটি পরিবারের হাটার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
নিজেকে আইন প্রণেতা দাবিকারি আজিজ। এবিষয়ে রাস্তা বন্ধে আটকে পড়া রুহুল আমিনে স্ত্রী নুরুন্নাহার বলেন আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো আমরাও এ পথে অদ্যাবধি চলাচল করেছি কিন্তু হঠাৎ করে সে বাড়ির জমি চিহ্নিত না করে বহিরাগত কিছু বখাটে লোকদের এনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে যার ফলে আমরা কয়েকটি পরিবার বন্দি অবস্থায় আছি।
দ্বীন মোহাম্মদকে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় তাকে বাঁচাতে গিয়ে মা জোহরা বেগম, ভাই ইমাম হোসাইন ও বোনসহ আঘাত প্রাপ্ত ও গুরুতর আহত হোন এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকার লুট করে নিয়ে যায় আজিজসহ হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে আহত দ্বীন মোহাম্মদ বলেন আমাকে মেরে ফেলার জন্যই আক্রমণ করা হয়েছে। এখনো হুমকি- ধমকি দিচ্ছে মেরে ফেলার জন্য। সামাজিক ভাবে সুষ্ঠু বিচার না পেলে আমি মামলা করবো।
পক্ষান্তরে হামলাকারী আজিজ বলেন বাক বিতন্ডাটি হাঁস নিয়ে শুরু হয় এক পর্যায়ে রাগের মাথায় আমি দ্বীন মোহাম্মদের উপর আঘাত করলে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাঙ্গলকোট থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।