আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪, দুপুর ২:০৮

৪৮ ঘন্টায় আই ফোন উদ্ধার বুঝিয়ে দিলেন জেলা পুলিশ সুপার-মোহাঃ আহমার উজ্জামান।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

নেপাল ধরঃ৷

ময়মনসিংহে একজন চিকিৎসকের মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ায় জন্য দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামানের কাছে। জেলা পুলিশ সুপার কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়িত্বরত এএসআই আমির হামজাকে মোবাইল উদ্ধারের নির্দেশ দেন। নির্দেশের ৪৮ঘন্টার মাথায় এএসআই ফোনটি উদ্ধার করেন। ৩৯ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ আদিল ইফতেখার টাংগাইলে জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছেন।

তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি কোতোয়ালী থানার এএসআই আমির হামজা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধারের পর আজ ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান,পিপিএম সেবা তার নিজ অফিসে বসেই প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিলেন। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে পুলিশের সময় লেগেছিল মাত্র ৪৮ ঘন্টা । কোতুয়ালী মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ পিপি এম (বার) যোগদান করার পর জনগনের চুরি, ছিনতাই ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের ব্যপারে একজন এ এস আই আমির হামজাকে দায়িত্ব দেন। থানার বিভিন্ন সেবা মুলক কাজের পাশাপাশি তিনি মোবাইল উদ্ধার কাজে বেশীর ভাগ সময় দেন।

গত ৭ মাসে এ এসআই আমির হামজা এ পর্যন্ত ২শ ৪৭ টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন সেপ্টেম্বর থেকে হাফ এপ্রিল ২০২২ সাল। সময়টা মাত্র ৭ মাস। আর এই সময়ে ডাক্তার, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাধারন মানুষের ছিনতাই, চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ২শ ৪৭ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার এ এস আই আমির হামজা। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন পুরস্কারও। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচর্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ,পিপিএম বার।

যোগদান করার পর এ সেবা ব্যপক ভাবে পরিচালনা হয়। উপকৃত হচ্ছেন জনগন। আমির হামজা শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উদ্ধার সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ হন অনেকে। কাউকে হতাশ হতে হয়নি তার কাছে গিয়ে। সাধ্যমতো চেষ্টা করে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের মোবাইল উদ্ধার করে দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় কর্মরত আছেন।
আমির হামজা এর আগে ডিআইজি অফিসে কর্মরত ছিলেন। পরে তার পোস্টিং হয় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখায়। কোতুয়ালী মডেল থানায় মাত্র ৭ মসের অধিক সময় ধরে কর্মরত আছেন। এ সময়ের মধ্যেই তিনি ২শ ৪৭ টি মোবাইল উদ্ধার করে অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।

এছাড়াও অপরাধ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরার কাজও করছেন আমির হামজা। অনেকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা আমিরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি সে পুলিশের বিভিন্ন ডিউটি ও অভিযান কাজেও অংশ গ্রহন করে থাকে। মোবাইল হারানোর জিডি হলেই তার ডাক পড়ে। তিনিও একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্ধারে নেমে পড়েন।

উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকেন। কর্মজীবনের প্রায় অনেকটা সময় তিনি সুনামের সাথে কাটিয়েছেন। হারানো মোবাইল উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি দু’দিন থেকে শুরু করে দুই মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শুধু মোবাইল ফোন উদ্ধারই নয়। কর্মস্থলের অন্য কাজগুলোও তিনি গুরুত্ব সহকারে করেন।

আমির হামজা বলেন, মোবাইল ফোন উদ্ধারের ক্ষেত্রে আমি মোবাইলের দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামের মোবাইল হোক বা গরিব রিকশাচালক বা শ্রমিকের হোক সমান গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার করি। কারণ মানুষের অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সে ততটা কষ্ট পায় না, “যতটা কষ্ট পায় একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে”। কারণ মোবাইলে অনেকের অনেক স্মৃতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা হারিয়ে গেলে তার অনেক মনে কষ্ট হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ যোগদান করার পর মোবাইল উদ্ধার হওয়া কাজ করায় জনগনের কাছে বাড়তি সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তির এই সেবা পেয়ে জনগন উপকৃত হচ্ছে। নগরবাসী কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। গত ৭ মাসের অধিক সময়ে ২শ ৪৭ টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১