রফিকুল ইসলাম।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) জনাব সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) জনাব মোঃ আবুল হাসেম মজুমদার নেতৃত্বে সঙ্গীয় এসআই(নিঃ) মোঃ আরিফুর রহমান, এএসআই(নিঃ) বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল/২৫৯ তাওয়াবুর রহমান, কনস্টেবল/১১৬৬ শাহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল/৮৫৪ মোঃ আবুল কালাম-দের নিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টহলরত টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে।
এয়ারপোর্ট থানাধীন সাপ্লাই ৪৮নং বাসার মালিক জোবায়ের আহমেদ এর বসতঘরের নীচ তলায় একটি কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ জাহাঙ্গীর (৪০), পিতা- মৃত নুর আলী, সাং- বাসা নং- ৭০, সাপ্লাই, রায় হোসেন, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ২। মোঃ কোহিল (৩০), পিতা- শাহানুর, মাতা- মৃত কোহিনুর বেগম, সাং- ভাটিপাড়া, থানা- দিরাই, জেলা- সুনামগঞ্জ।
বর্তমানে- সাপ্লাই, জামালের গ্যারেজ থানা এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ৩। মোঃ জজ মিয়া (৩৩), পিতা- আব্দুল জলিল, মাতা- মালেকা খাতুন, সাং- কিল্লা তাজপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমানে- বন্ধন জি-২৬, খাসদবীর, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ৪। মোঃ আক্তার হোসেন (৩১), পিতা- মৃত ওয়াফিজ আলী, মাতা- রাবেয়া খাতুন, সাং- ভাটিপাড়া, থানা- দিরাই।
জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমানে- সাপ্লাই, জামালের গ্যারেজ, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ৫। মোঃ সাইদুর রহমান (৪২), পিতা- আলীকুর রহমান, মাতা- মনিকা বেগম, সাং- মধুরাপুর, থানা- দিরাই, জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমানে- সাপ্লাই, জামালের গ্যারেজ, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ৬। মোঃ রুবেল (২৫), পিতা- শহিদ মিয়া, সাং- ঘুঘুরচর পাঠানবাড়ী, থানা- চাঁদপুর সদর, জেলা- চাঁদপুর, বর্তমানে- সাপ্লাই, জাফর মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট নামীয় ০৬ (ছয়) জুয়ারীকে গ্রেফতার করেন। তখন তাদের হেফাজত হতে জুয়া খেলার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনাস্থল বাসাটিতে ১নং আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর (৪০) এর তত্বাবধানে ধৃত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ মিলিয়া তাহাদের সহযোগী জুয়াড়ীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরিয়া তাস দিয়া টাকা পয়সার বিনিময়ে জুয়ার বোর্ডটি পরিচালনা করিয়া আসিতেছিল। জুয়ার নেশায় আসক্ত হইয়া দিন মজুর সাধারণ শ্রেণী পেশার মানুষেরা সর্বশান্ত হইতেছে।
উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় এজাহার দায়ের করা হলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।