মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সোনার দোকান থেকে ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি সোনাসহ ৮ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডাকাদের কাছ থেকে অস্ত্র,গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোটও উদ্ধার করা হয় সোমবার বেলা ১২ টার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন,সাব্বির হোসেন ওরফে হাত কাটা স্বপন(৪৯),আরিফ হাওলাদার(২৫), মোহাম্মদ আলী(৪০), বিল্লাল মোল্লা(৩০), আনোয়ার হোসেন (৩২),ফারুক খাঁ ২১আফজাল হোসেন(৪৭),মো.আক্তার হোসেন(৩২)। এদের মধ্যে সাব্বির,বিল্লাল,আফজাল ও আক্তারের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়।আরিফ ও ফারুখ খায়ের বাড়ী মাদারিপুর এবং মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ১৮-২০ জন ডাকাত সদস্য সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালায়। সে সেসময় বাজারের পাহারাদারদের হাত বেঁধে ফেলে। পরে মুননাগ স্বর্ণ শিল্পালয় ও নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয় ও মিল্টন ব্রাদার্স স্টোর নামে দোকানে ডাকাতেরা লুটপাট চালায়। সে সময় দুটি সোনার দোকান থেকে ১০৮ ভরি সোনা ও ৩০ লাখ টাকা লুটে নেয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান,ঘটনার পরদিন থেকে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামীদেন গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে আজ সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মাদারী পুরের শিবচর শরীয়তপুরের জাজিরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী গুলিস্থান কামরাঙ্গীচর ও কেরানীগঞ্জের বাবু বাজার তাতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিড বোট,ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার,ম্যাগজিন পিস্তল,গুলি ও চা পাতি সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৭ জন এবং ডাকাতি স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অপরাধে আক্তার হোসেনসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাকিদের গ্রেপ্তার ও সোনা উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাকাতদের আদালতে উঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই ডাকাত চক্রটি বংশপরম্পরায় ডাকাতি করে আসছে। ইতিমধ্যে একটি বড় লঞ্চের ডাকাতির কোথাও তারা স্বীকার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ডাকাতির সাথে তারা জড়িত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী রিপন বনিক আমার সংবাদকে বলেন চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি হয়েছে সবগুলোই ক্রেতাদের ছিল। সেখান থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে। আমি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ক্রেতারা তাদের সোনার জন্য আমাদের উপরে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধার হলে আমরা তাদের থেকে বাঁচতে পারতাম ।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম বলেন, ডাকাতি সংঘটিত চক্রটি মুন্সীগঞ্জসহ আশে পাশের জেলার লোক। আমরা খুব শীঘ্রই ঐ চক্রটিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
( বিবিসি ডেস্ক)