স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রথম স্ত্রীর দায়েরকৃত নির্যাতন মামলায় মো.আবুল হাসেম নামে কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
যদিও বিষয়টি জানাজানি হয়েছে শুক্রবার। মো.আবুল হাসেম উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। গত ১৮ নভেম্বর আবুল হাসেমের প্রথম স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কুমিল্লার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কথিত সাংবাদিক আবুল হাসেম হাসনাবাদ ইউনিয়নের কাশই গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করার পর থেকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। তিনি স্ত্রী তাহমিনার ভরণপোষণ বহন করতেন না, জোরপূর্বক কয়েকবার যৌতুক আদায় করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নির্যাতন করতো ওই কথিক সাংবাদিক। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতের আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল হাসেম ‘দৈনিক আলোকিত পত্রিকা’ নামে একটি অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালাতেন। একাধিক বিয়ে, মাদক, চোরাকারবারি, পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখিয়ে অসহায় মানুষদের হয়রানি, অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে।
আসছিলের তিনি। প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের কপি গত ৬ ডিসেম্বর মনোহরগঞ্জ থানায় পৌঁছে। এর ভিত্তিতে গত ২০ ডিসেম্বর সোমবার মনোহরগঞ্জ থানার এসআই রবিন তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আবুল হাসেমকে হাসনাবাদ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন।
কথিত সাংবাদিক আবুল হাসেমের প্রথম স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে নামধারী সাংবাদিক আবুল হাসেম কখনো আমাকে শান্তি দেয়নি। এরপরও সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করেছি। কিন্তু তিনি বদলাননি। বরং কিছু দিন পরপর বিয়ে করে মেয়েদের জীবন নষ্ট করছিলেন। এসব সহ্য করতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি তার বিচার চাই।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুল কবির জানান, আবুল হাসেমের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের দায়েরকৃত মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মনোহরগঞ্জ থানায় পৌঁছলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করি। আবুল হাসেমকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।