নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অফ টেকনালেজিতে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা কর্তৃক সহকারী অধ্যাপককে হুমকী-ধমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী অধ্যাপক বুড়িচং থানা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অফ টেকনালেজিতে চাকুরীরত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান ভূইয়া’র সাথে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ও বুড়িচং উপজেলা জামায়াতে ইসলামের রোকেন সদস্য মোঃ আবু তাহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরাধে সৃষ্টি হয়। যার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিতারিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো।
সে বিভিন্ন অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে অধ্যক্ষ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কিভাবে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে দেখে দিবে বলে প্রকাশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে হুমকী দেয়।
এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাব চাইলে সে আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং চাকুরী থেকে বরখাস্ত ও ভয়ভীতি হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। বিষয়টি সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক কর্মচারী এবং ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করে।
গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানস্থলে ব্যানার টানাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং উত্তেজিত হয়ে উঠে ও হুমকি ধমকি মূলক কথাবার্তা বলতে থাকে।
ভূক্তভোগী শিক্ষক আখতারুজ্জামান আরো বলেন, অধ্যক্ষ আবু তাহের প্রকৃতপক্ষে জামায়াত শিবির পন্থি। বর্তমানে সে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর একজন রাকেন সদস্য। সে প্রায় সময় সরকারের বিভিন্ন দিবস পালন সংক্ষিপ্ত করে তাহার নিজস্ব ব্যবসায়ীক ও দলীয় কাছে লিপ্ত থাকে। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন দিবস গুলো পালণে অনিহা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগের অনুলিপি আমি পেয়েছি। অভিযোগ পত্রের অনেকগুলো বিষয় সঠিক, অধ্যক্ষ আবু তাহের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছেন। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তও মানছেন না তিনি।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, ব্যানার টানানোতে বাধা দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে সহকারী অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান ভূইয়া নির্দিষ্ট সময়ের ১ ঘন্টাপর ব্যানার নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে আসে। তাছাড়া সে অনুষ্ঠান স্থলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সামনে আমার সাথে অকথ্য খারাপ ব্যবহার করে চলে যায়।