বিধিনিষেধের (লকডাউন) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বসছে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চলমান ১৪ দিনের বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাতে শেষ হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সংক্রমণের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে সরকারের। অর্থনীতি ও জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু বিষয়ে শিথিলতা আসতে পারে।
বিধিনিষেধ বাড়লে তা কতদিন হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিলতা আসবে- সভায়ই সবকিছু চূড়ান্ত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বিধিনিষেধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এই সভা হবে। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব/সচিব ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা যুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। মাঝে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা। তবে গত ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমল।
এদিকে, বিধিনিষেধ জারির পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। প্রতিদিনই দু-শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন ১০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অপরদিকে গণপরিবহন চালু এবং দোকান-শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।
আরএমএম/এমআরআর/জেআইএম