আজ ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪, রাত ৪:৫১

ফেনীর দাগনভূঞায় লাশ দাফনে বাধা, ওসি’র হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আবদুল্লাহ আল মামুন:

ফেনীর দাগনভূঞায় ছয় সন্তানকে বঞ্চিত করে অপর তিন সন্তান ও স্ত্রীকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় বাধে দ্বনদ্ব। আর এ কারণে বাবার লাশ দাফনে বাধা প্রদান করেন সম্পদ বঞ্চিত সন্তানরা। পরে থানার ওসি মোঃ হাসান ইমামের হস্তক্ষেপে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর দাফন করা হয় সেই লাশ।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডস্থ জননী ম্যানশনে বাধর্ক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ফেনী পলিটেকনিক ইনস্ট্রিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজি আবু আহমেদ মাস্টার। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজিবাড়ির বাসিন্দা। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু আহমেদের ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। তন্মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গোলশান আরাকে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সমুদয় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দেন। জীবিত অবস্থায় মাস্টার আবু আহমেদ সম্পত্তি বঞ্চিতদের কোনো সম্পত্তি না দেওয়ায় সম্পত্তি বঞ্চিত সন্তানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা সম্পত্তির বিষয় সামাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের পিতা আবু আহমেদ লাশ দাফনে বাধা প্রদান করেন। এ সময় ভাইবোনদের মাঝে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি মোঃ হাসান ইমাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরে সমাধান করার আশ্বাস প্রদান করা হয়। মৃত্যুর প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরে সবাইকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা বলে তিনি জানান।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০