রফিকুল ইসলাম।
আমি ও আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য দীর্ঘদিন যাবত প্রত্যেকটা মুহুর্ত নিরাপত্তাহীনতা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম, পাশাপাশি হারিয়েছিলাম কষ্টে অর্জিত নগদ অর্থ তখন আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ সকলের প্রত্যেকটা সেকেন্ড মিনিট সময় কেটেছিল চরম মানসিক হতাশায়। তখন আমি ও আমার বড়ভাই দীর্ঘ কয়েক মাস বাড়িতে যেতে পারিনি এবং আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে ও দেখতে পারিনি।
সম্প্রতি আমাদের ঈদ কেটেছিলো পথে ঘাটে, এভাবে আমাদের জীবন যাপন চলছিলো। অনেকের দারে দারে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে ন্যায় বিচারের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। স্যার, ঠিক এই মুহূর্তে আপনারা আমাদের জীবনে নতুন করে আশার আলো জালিয়েছেন। অবশেষে গত ২৪/০৭/২০২১ তারিখে অত্র সমস্যাটির অবসান ঘটিয়ে বাড়িতে যাই। এখন স্বস্তিতে আছে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী। স্যার আপনাদের সু-দৃষ্টিতে আমরা আইনের আশ্রয় পেয়েছি। ফলে অত্র গ্রামের সাধারণ মানুষ হয়েছেন।
আইনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। আবার ও প্রমানিত হলো দেশে আইনের সু-শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত আছে। চির কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি স্যার আমাদের পরিবার ওএলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো এভাবেই বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে লিখেছেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানা এলাকার এক ভদ্রলোক। তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার ও তার পরিবারের কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে ইনবক্সে লিখেন। তিনি উল্লেখ করেন তাদের এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভয়ে তিনি ও তার বড় ভাই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দীর্ঘদিন বাড়িতে যেতে পারছেন না। প্রবলভাবে তাদের পাশে থাকবে জানিয়ে তাকে ও তার ভাইকে এলাকায় যেতে পরামর্শ দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। বার্তাটি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানার ওসিকে পাঠিয়ে এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার।
নির্দেশনা দেয়া মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। বার্তা পেয়ে ওসি মোল্লারহাট বার্তা প্রেরণকারী ভদ্রলোক তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সার্বক্ষনিক দৃষ্টি রাখবে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের উপর কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগীকে জানানো হয়েছে তার ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরন করে থাকে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ।