আবদুল্লাহ আল মামুন:
নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার (৩ জুলাই) সকালে তিন দিনব্যাপী (৩ থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত) কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন।
মেলার উদ্বোধনীতে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা পরিষদ বিজয় চত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে অফিসার্স ক্লাব মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি’র সভাপতিত্বে ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সী, উপজেলা কৃষি কমকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার, দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ শাহ আলম প্রমুখ। এসময় সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার ভূঁইয়া, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ, জগতপুর সিআইজি সভাপতি মোজাম্মেল হক ও উপজেলার কৃষক কৃষাণীরা সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দাগনভূঞা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার তত্বাবধানে মেলার যাবতীয় কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়। মেলায় দেশীয়, স্থানীয় ও উচ্চ ফলনশীল জাতের কৃষি পণ্যের সমাহার দেখা গেছে।
১২টি স্টল এই মেলায় অংশ নেয়। মেলায় সবজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিচিংগা, ঝিংগা, করলা, কুমড়া, পটল, ডাড়ি, শশা, লাউ, কোদমা, লালমি, ঢেড়শ, বিভিন্ন ধরনের শাক এবং ফলের মধ্যে আম, কলা, জাম, কামরাঙ্গা, কাঠাল, সাফাটু, আতা, আমড়া, খেজুর,আঙ্গুর, আনারস, কমলা, লেবু, তালকুর, ডালিম, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, এবং বিভিন্ন দেশী ও বিদেশি জাতের কৃষি ফসল ছিল অন্যতম। এ ছাড়াও কৃষি নির্ভর বিষ ও বীজ কোম্পানির উদ্যোক্তারা এই মেলায় অংশ গ্রহণ করে।
এসময় বক্তারা বলেন, মেধা ও চেষ্টায় কৃষির উন্নয়নে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কঠোর পরিশ্রম করে কৃষির উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।