আজ ৩রা মে, ২০২৪, বিকাল ৪:০৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় দাগনভূঞার যুবকের মৃত্যু| লাশ আফ্রিকায় দাফন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আবদুল্লাহ আল মামুন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় পেপটিক আলসার রোগে আক্রান্ত হয়ে দাগনভূঞা যুবক মোশাররফ হোসেন রাজিব (২৬) এর মৃত্যু হয়েছে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে বারটায় দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনবার্গ ব্যারেজ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাজিব উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের (জালুর টেক) হাজী জালাল আহাম্মদের বাড়ির আবুল হাসেমের মেজো ছেলে। রাজিব তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে মেজো।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে গ্যাস্ট্রিক তথা এসিডিটির রোগে ভুগছিলেন। খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ। ইচ্ছের বাহিরে জোর করে কোনো কিছু খেতে গেলে বমি হত। বেশ কিছু দিন তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে তার রিপোর্টে পেপটিক আলসার ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাজিব গত ২ বছর আগে জীবিকার তাগিদে ও উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সে ওইখানে এক বাঙালির দোকানে কর্মরত ছিল।

রাজিবের চাচাতো ভাই নাহিদ বাদশা জানান, ওইদিন (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনবার্গে রাজিবের জানাযা শেষে ওইখানে দাফন সম্পন্ন হয়। এক ইমাম জানাজার নামাজ পড়ান। বাঙালি কমিনিউটির সদস্যরা ছাড়াও আফ্রিকান নাগরিকও জানাজায় অংশ নেন।

ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) না থাকায় (অ্যাসাইলাম পেপার) সংক্রান্ত জটিলতা কারণে দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, যেহেতু পারমিট নেই লাশ দেশে আনতে গেলে প্রায় ২/৩ মাস সময় লাগতে পারে। একারণে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্তক্রমেই ওইখানে দাফন সম্পন্ন হয়।

উপার্জনক্ষম ছেলে মোশারফ হোসেন রাজিবকে হারিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। আদরের সন্তানকে হারিয়ে বাবা আবুল হাসেম এখন বাকরুদ্ধ। পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতন। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১