নেপাল ধরঃ৷
ময়মনসিংহের ত্রিশাল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাষ্টার হত্যার পর খাঘাটি-জামতলি গ্রাম আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।পর পর ৩ হত্যা মামলার একটির বাদী মোঃ সোহাগ বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের খাঘাটি-জামতলি গ্রামের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার কে ২০১৮সালে হত্যা করা হয়। ঐ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জিলানীর ছোট ভাই প্রফেশনাল কিলার দুধর্ষ ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য তোফাজ্জল।
দুধর্ষ কিলার তোফাজ্জল সহ মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে কেউ যেন সাক্ষী না দেয় সেই লক্ষ্যে সাক্ষীদেরকে ফাঁসানোর জন্য একই গ্রামের রফিকুল নামে এক নিরীহ লোককে অমানবিক যন্ত্রণা দিয়ে জিলানী তার দলবল নিয়ে হত্যা করে।এই হত্যা মামলায় আমি একজন সাক্ষী এবং এই মামলায় জিলানী অন্যতম প্রধান আসামি।আমি হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় জিলানী-তোফাজ্জল আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। যার ভিডিও আছে।
তারই অংশ হিসেবে সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল আনুমানিক রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঈদগা বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে জিলানী-তোফাজ্জল বাহিনী তাদের দলবল সহ আমার উপর আক্রমণ করে। আমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমার চাচা আবুল কালাম ঘটনাস্থলে দৌড়ে গেলে তাকে অমানবিক নির্যাতন সহ নিশংস ভাবে কুপিয়ে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে।ঘটনার পরদিন ১৫ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮.৩৮ মিনিটে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সাংবাদ সম্মেলনে সোহাগ আরো জানায়, তাদের খাঘাটি-জামতলি এলাকায় পর পর তিনটি খুনের কারনে আতঙ্কে মানুষ প্রবলভাবে আতঙ্কিত। আমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে বেঁচে যাওয়ায় আমার জীবন এখন হুমকির মুখে। জিলানী বাহিনীর হাত থেকে তাদেরকে বাঁচাতে তিনি সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা চান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ আলী আকন্দ, ভালুকা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, নিহত আবুল কালামের ছেলে আল-ইমরান,ভাই দুলাল উদ্দিন, ভাতিজা ওবায়দুর রহমান,হারুনুর রশিদ, সাবেক মেম্বার হাফিজুল ইসলাম, প্রতিবেশী সজল চৌধুরী ফারুক হোসেন।