তিতাস প্রতিনিধি।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইমারতের মালিক মোসাঃ নাছিমা আক্তার বলেন ১৯৯৭ সালে কড়িকান্দি মৌজার এস এ খতিয়ান নং ২৭২ খারিজ নং ৬৬২ খতিয়ানভুক্ত ও ডিপি ১৮৪৩ নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক দাগ ১০৮১ হালে ৩৭৭৬ ডোবা হালে দোকানপাট ৩ শতক। যাহার উত্তরে নুরুল হাসান,দক্ষিণে সরকারী রাস্তা,পূর্বে শান্তি মিয়া ও পশ্চিমে ফারুক হোসেন এবং একই দাগে উত্তরে কাদের ভূইয়া,দক্ষিণে সরকারী রাস্তা,পূর্বে ফারুক হোসেন,পশ্চিমে জব্বর মেম্বার ১০ শতক মোট ১৩ শতক ভূমি আমি আমার স্বামী কাবিল হোসেনের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে আসছি। যাহার দলিল নং- ৪৫৫৫ তাং ৩০/৬/১৯৯৭ ইং ১০ শতক এবং ৪৫৩৯ তাং- ২৯/৬/১৯৯৭ ইং ৩ শতক, উক্ত ভূমিতে আমি ভোগ দখলে আছি। এরই মধ্যে আমার দেবর ফারুক হোসেন ,নুরুল হাসান,ননদ রিনা ও মনি যোগসাজেস করে বিভিন্ন সময় নানাহ অজুহাত দেখিয়ে আমার দখলীয় কড়িকান্দি বাজারস্থ ইটালিয়ান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ৪টি ও নিচ তলায় ৪ টি দোকান ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে ২০১৫ সালে কুমিল্লা আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেছি যার নং- ১৪/১৫। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক ২ বছর শুনানি শেষে ২০১৭ সালে আমার দখলীয় নালিশী তফসিলভুক্ত ভূমিতে বিবাদীগণকে অনুপ্রবেশ না করার জন্য চিরস্থায়ী ভাবে নিষেধ করে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। উক্ত রায়ের আলোকে আমি ইটালিয়ান প্লাজার তৃতীয় তলায় আগস্ট মাসের ২২ তারিখে ৩ রোম বিশিষ্ট ইমারত নির্মান কাজ শুরু করি,এখন ছাদ ঢালাই দিতে গেলে আমাকে নুরুল হাসানগং বাধা প্রদান করে। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই। এবিষয়ে নুরুল হাসান বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহাসীন ভূইয়ার নিকট আমরা বিচার দিয়েছি উভয় পক্ষ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করেছি, আগামী রোববার বিচারের তারিখ করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহাসীন ভূইয়া বলেন উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আগামী রোববার বিচারের তারিখ করা হয়েছে এবং মার্কেটের দোকানীদের উপস্থিতিতে বিচার হবে বলে উভয় পক্ষ সম্মতি দিয়েছে।