রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা থেকে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখেছেন। তিনি জানান, তার শ্বশুরবাড়ি ঝালকাঠি সদর থানার অধীনে। ডাকঘর গাভা। তিনি প্রেম করে বিয়ে করেছেন। পরে, পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তিনি তার স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।
তার প্রথম সন্তান মারা যায়। বর্তমানে ১৮ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। কিন্তু, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকদিন সে তার শিশু সন্তানকে দেখতে পায় না। তার সাথে কোনো যোগাযোগও করতে দেয় না। স্থানীয়ভাবে সে চেষ্টা করেছে সংসারে ফিরে যেতে। কোনোভাবেই পারেনি। তিনি জানান, তিনি সংসার করতে চান। কোনো মামলায় জড়াতে চান না।
তার বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমানকে পাঠিয়ে নির্দেশনা দেয় উক্ত নারীকে সসম্মানে তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে। ওসি ঝালকাঠি সদরের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও মধ্যস্থতায় উক্ত গৃহবধু নারীকে তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেয়া হয়েছে।
সন্তানকে বহুদিন পর কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সেই নারী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীকে বলা হয়েছে উক্ত গৃহবধুর যোগ্য মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং সেই নারীকেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে সে নিজেও যেনো কোনো অপরাধ বা অন্যায় না করে। উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ সংসার জীবন নিশ্চিত করতে সবসময় তাদের পাশে থাকতে বাংলাদেশ পুলিশ।
শ্রদ্ধান্তে
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ