করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপী ১৪ দিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ ছিল ফাঁকা।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত কিছু যানবাহন ছাড়া তেমন কোনো পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি সড়কে। ব্যস্ততম এ সড়কে অন্যান্য দিনের মতো দেখা যায়নি ঘরমুখো মানুষের চাপ।
এছাড়া সকাল থেকেই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশের দাউদকান্দি, চান্দিনা, আলেখাচর বিশ্বরোড ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, কোটবাড়ি বিশ্বরোড ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ঘুরে পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি গুটিকয়েক রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা যায়। এদিকে কেউ নিয়ম না মানলে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে মহাসড়কে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকে মহাসড়কে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে চারটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করা প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস আটকে দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘এবারের বিধিনিষেধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে ৪০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। এদিকে কুমিল্লা নগরীতে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চলবে। এছাড়া ১৭টি উপজেলার প্রতিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে ৩৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন।’
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষণা অনুযাইয়ী, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ।